নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই সফলতা
নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই সফলতা
আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারা একজন মানুষের সবচেয়ে বড় দক্ষতা। দুইজন ছাত্রের কথা ধরা যাক। কাল তাদের পরীক্ষা। আজ টিভিতে তাদের দু’জনের প্রিয় টিমের ক্রিকেট ম্যাচ সরাসরি দেখাবে। তবে পরীক্ষায় যদি ভালো করতে হয় তবে তাদের উচিৎ হবে খেলা দেখা বাদ দিয়ে সময়টা পড়ার কাজে লাগানো, যাতে পরদিন পরীক্ষাটা ভালো হয়।
এই দুইজন ছাত্রের একজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে খেলা দেখা বাদ দিয়ে পড়াশুনা করল।তার পরীক্ষা খুবই ভালো হল। আরেকজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। ফলে তার পড়া ঠিকমত হল না, আর তাই তার পরীক্ষাও ভালো হল না। অথচ দু’জনেরই লক্ষ্য ছিল পরীক্ষায় ভালো করা। একজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছে, আরেকজন করেনি।
শুধু পড়াশুনা নয়, যে কোনও বিষয়েই মানুষ যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পারে – তবে সে জীবনে অনেক বেশি সফল হতে পারবে। আসলে মানুষের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারণই হল সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে না পারা। এবং এই না পারার সবচেয়ে বড় কারণ হল নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা।
কাজের সময়ে খেলা দেখা বা অন্য কোনও মজা বিসর্জন দেয়ার মত আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি আপনার থাকতেই হবে, না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। সত্যি কথা বলতে, সব সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা সহজ নয়। কারণ সব সময়েই আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন ও মজার বিষয় আসতে থাকে, যেগুলো এড়িয়ে সত্যিকার কাজ করাটা অনেক সময়েই কঠিন হয়ে যায়।
আর এটা কঠিন বলেই পৃথিবীর মাত্র ২০% মানুষ বাকি ৮০% এর ওপর কতৃত্ব করে। এই ২০% মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সফল হতে হতে এমন একটা জায়গায় চলে যায়, তারা তখন অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিখ্যাত সেলফ ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনার ও বেস্ট সেলিং লেখক ব্রায়ান ট্রেসি তাঁর “দি পাওয়ার অব সেল্ফ ডিসিপ্লিন”বইয়ে লিখেছেন, পৃথিবীর ২০ ভাগ মানুষ বাকি ৮০% টাকার মালিক।
পৃথিবীর ৮০% মানুষ বাকি ২০% এর জন্য কাজ করে। এর কারণ হিসেবে অনেকে পুঁজিবাদ, সামাজিক অবস্থা – ইত্যাদিকে দায়ী করেন। একথা সত্যি যে, এগুলোর কিছু দায় আছে। কিন্তু এই ৮০% মানুষের একটি বড় অংশ সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় ও পরিশ্রমে বড় হয়েছেন। তাঁদের জন্ম হয়েছিল খুব সাধারণ অবস্থায়। বলার মত কোনও পরিচয় অথবা কোনও সম্পদ নিয়ে তাঁরা শুরু করেননি।
চীনের জ্যাক মা, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা টমাস আলভা এডিসন, ভারতীয় ধনকুবের ধীরুভাই আম্বানী, অথবা বাংলাদেশের আকিজ শেখ এর মত মানুষরা এমন অবস্থা থেকে এমন জায়গায় উঠে এসেছেন – যা দেখেও বিশ্বাস হতে চায় না।
তাঁদের এই অবাক করা সাফল্যের পেছনে মেধা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি আত্ম নিয়ন্ত্রণের একটা বড় ভূমিকা ছিল। ক্লাসের সেরা ছাত্রটি থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষেত্রের সেরা মানুষগুলোর মধ্যে এই গুণটি দেখা যায়। একজন মানুষ যত মেধাবী আর সুযোগের অধিকারীই হোক না কেন – সে যদি সময়মত নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক কাজটি করতে না পারে – তবে সে সফল হতে পারবে না। যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম একটি শর্তই হল নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারা।
Follow Fb : https://www.facebook.com/enggnadimhasan/
[তথ্যসূত্র: ইন্টানেট]
আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারা একজন মানুষের সবচেয়ে বড় দক্ষতা। দুইজন ছাত্রের কথা ধরা যাক। কাল তাদের পরীক্ষা। আজ টিভিতে তাদের দু’জনের প্রিয় টিমের ক্রিকেট ম্যাচ সরাসরি দেখাবে। তবে পরীক্ষায় যদি ভালো করতে হয় তবে তাদের উচিৎ হবে খেলা দেখা বাদ দিয়ে সময়টা পড়ার কাজে লাগানো, যাতে পরদিন পরীক্ষাটা ভালো হয়।
এই দুইজন ছাত্রের একজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে খেলা দেখা বাদ দিয়ে পড়াশুনা করল।তার পরীক্ষা খুবই ভালো হল। আরেকজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। ফলে তার পড়া ঠিকমত হল না, আর তাই তার পরীক্ষাও ভালো হল না। অথচ দু’জনেরই লক্ষ্য ছিল পরীক্ষায় ভালো করা। একজন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছে, আরেকজন করেনি।
শুধু পড়াশুনা নয়, যে কোনও বিষয়েই মানুষ যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পারে – তবে সে জীবনে অনেক বেশি সফল হতে পারবে। আসলে মানুষের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার সবচেয়ে বড় একটি কারণই হল সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে না পারা। এবং এই না পারার সবচেয়ে বড় কারণ হল নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা।
কাজের সময়ে খেলা দেখা বা অন্য কোনও মজা বিসর্জন দেয়ার মত আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি আপনার থাকতেই হবে, না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। সত্যি কথা বলতে, সব সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা সহজ নয়। কারণ সব সময়েই আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন ও মজার বিষয় আসতে থাকে, যেগুলো এড়িয়ে সত্যিকার কাজ করাটা অনেক সময়েই কঠিন হয়ে যায়।
আর এটা কঠিন বলেই পৃথিবীর মাত্র ২০% মানুষ বাকি ৮০% এর ওপর কতৃত্ব করে। এই ২০% মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সফল হতে হতে এমন একটা জায়গায় চলে যায়, তারা তখন অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিখ্যাত সেলফ ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনার ও বেস্ট সেলিং লেখক ব্রায়ান ট্রেসি তাঁর “দি পাওয়ার অব সেল্ফ ডিসিপ্লিন”বইয়ে লিখেছেন, পৃথিবীর ২০ ভাগ মানুষ বাকি ৮০% টাকার মালিক।
পৃথিবীর ৮০% মানুষ বাকি ২০% এর জন্য কাজ করে। এর কারণ হিসেবে অনেকে পুঁজিবাদ, সামাজিক অবস্থা – ইত্যাদিকে দায়ী করেন। একথা সত্যি যে, এগুলোর কিছু দায় আছে। কিন্তু এই ৮০% মানুষের একটি বড় অংশ সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় ও পরিশ্রমে বড় হয়েছেন। তাঁদের জন্ম হয়েছিল খুব সাধারণ অবস্থায়। বলার মত কোনও পরিচয় অথবা কোনও সম্পদ নিয়ে তাঁরা শুরু করেননি।
চীনের জ্যাক মা, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা টমাস আলভা এডিসন, ভারতীয় ধনকুবের ধীরুভাই আম্বানী, অথবা বাংলাদেশের আকিজ শেখ এর মত মানুষরা এমন অবস্থা থেকে এমন জায়গায় উঠে এসেছেন – যা দেখেও বিশ্বাস হতে চায় না।
তাঁদের এই অবাক করা সাফল্যের পেছনে মেধা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি আত্ম নিয়ন্ত্রণের একটা বড় ভূমিকা ছিল। ক্লাসের সেরা ছাত্রটি থেকে শুরু করে যে কোনও ক্ষেত্রের সেরা মানুষগুলোর মধ্যে এই গুণটি দেখা যায়। একজন মানুষ যত মেধাবী আর সুযোগের অধিকারীই হোক না কেন – সে যদি সময়মত নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক কাজটি করতে না পারে – তবে সে সফল হতে পারবে না। যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম একটি শর্তই হল নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারা।
Follow Fb : https://www.facebook.com/enggnadimhasan/
[তথ্যসূত্র: ইন্টানেট]
No comments