সফলতাই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ!
সফলতাই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ!
পৃথিবীতে ধনী বা সফল হতে চায় না এমন লোক একটাও খুজে পাওয়া যাবে না, হোক সে ভালো বা মন্দ লোক। ইংরেজিতে একটা কথা আছে-”Success is the best revenge “.অর্থাৎ সফলতাই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।
যখন কেউ জীবনে সফল বা খুব ভালো কিছু করে দেখাতে পারে তখন সমাজে সবাই তাকে সম্মান করে। এমনকি তখন তার শত্রুরাও অনুশোচনা করে, কেন তার সাথে সর্ম্পক খারাপ করলাম বা কেন তার সাথে সর্ম্পকচ্ছেদ করলাম ।
আপনি কিছুটা খেয়াল করুন এবং দেখুন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী বা সফল ব্যাক্তিদের কিছু গুন যার দ্বারা আজ তারা পৃথিবীতে রাজত্ব করছেন যা সবার দ্বারা সম্ভব ।
ঘুরে আসুন : স্বপ্ন পূরনের জন্য কোন ডিগ্রীর দরকার হয় না।
আপনি কিছুটা খেয়াল করুন এবং দেখুন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী বা সফল ব্যাক্তিদের কিছু গুন যার দ্বারা আজ তারা পৃথিবীতে রাজত্ব করছেন যা সবার দ্বারা সম্ভব ।
১)পরিকল্পনা(Planning): সফলতা অর্জন করতে হলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারাদিন কি কি করবেন তার পরিকল্পনা করে নিতে হবে। যে কোন কাজ করার আগে পুনঃরায় ভেবে নিতে হবে । প্রস্তুতি আগে ভালো নিয়ে তারপর কাজ শুরু করতেন।
২)শ্রম ও বাস্তবায়ন (Actualization): পরিকল্পনা করে বসে থাকলেই সব শেষ।এটাকে এখানেই কবর দিয়ে দিলেন।
ঘুরে আসুন : চাকরী করা ছাড়াও প্রচুর আয় করবেন যেভাবে!
যা পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে, তার জন্য passion থাকতে হবে ।বলা হয় যে -“পৃথিবীর সব মানুষ যে পরিমান সময় স্বপ্ন দেখায় ব্যায় করে, তার অর্ধেক ও যদি কাজে ব্যায় করতো,তাহলে দারিদ্র্যতা শব্দটি পৃথিবী থেকে উঠে যেতো।
৩) নিজের শক্তি ও দুর্বলতা খুজে বের করা (Find out your strength and weakness): বিধাতা সবাইকে সব কিছু দেন না।আবার সবাইকে ১টা না ১টা স্পেশাল গুন দেন, যা সবার থাকে না।আপনার এই গুনটিকে খুজে বের করে কাজে লাগাতে হবে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে।
জ্যাক মা বলেছিলেন-“I failed a key primary school test two times,I failed the middle school test 3 times,I failed the college entrance exam two times” মানে মোট ৭ বার তিনি স্কুল থেকে কলেজ এ ফেইল করে এখন তিনি চীনের সবচেয়ে এবং বিশ্বের ৩৩তম ধনী। কারণ লেখাপড়ায় ভালো হওয়া মানেই সব না,তিনি তার আইটি মেধা কাজে লাগিয়ে আজ আলীবাবা গ্রুপ এর CEO.
৪)ধৈর্য্য(Patience): জীবনে উথ্থান পতন আসবেই কিন্তু ধৈর্য্য হারালেই সব শেষ।ধৈর্য্য একটি মহৎ গুন। আমাদের জানা আছে, হযরত যাকারিয়া (আঃ) - এর সারা শরীর অসুস্থ হয়ে পচে গেছিলো, তার পরও তিনি আল্লাহর উপর ধৈর্য্য ধরে ছিলেন। সব নবী ও রাসুল যারা পৃথিবীতে এসেছিলেন তাদের সবার জীবন কাহিনী শুনে জানা গিয়েছে, সবাই ধৈর্য্য ধরতেন। জ্যাক মা, টেন্ডুলকার, আব্রাহাম লিংকন সবার কথা যদি বলি ধৈর্য্য ধরতেন বলেই আজ বিখ্যাত।
৫)অযুহাত(Excuse): পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তারা কোন অযুহাত দিতেন না,সরাসরি নিজের দোষ স্বীকার করে নিতেন। আর তাই তারা কোন কাজে ব্যার্থ হতেন না। বাধা আস্তেই পারে, তবে তার জন্য ওজুহাত দাড় করাবেন না । No excuse জীবন গড়তে হবে । Excuse কেউ শুনবে না । যার জন্য এত কিছু সেও না । মৃত্যুর পরে আল্লাহও না । আপনার মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ভালবাসা জনিত সমস্যা থাকতেই পারে, মানিয়ে নিয়েই চলতে হবে । এর বাইরে কজন আছে বলেন দেখি ! কারো না কারো, কোন না কোন সমস্যা আছেই । পৃথিবীর সব চাইতে ক্ষমতাবান মানুষটাই একদিন অসহায় হয়ে যায় । দুই চোখ দিয়ে যা দেখতে পান না, তৃ্তীয় চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন, 3D সিনেমার মত clear হয়ে যাবে ।Believe it or not.
"No inferiority complex, Just industry Beyond Measure."
“কারো প্রিয় বাবা যুদ্ধ করেছে, এবার যুদ্ধ করবে কারো আদরের সন্তান”
মনে রাখবেন আপনার চারদিকে হাজারো সুযোগ রয়েছে । অর্জন আপনাকেই করতে হবে । কেউ বিখ্যাত হয়ে জন্ম নেই না । বিখ্যাত হওয়ার পিছনের দিন গুলো অনেক কষ্টের অনেক অনেক… !
মনে রাখবেন আপনার চারদিকে হাজারো সুযোগ রয়েছে । অর্জন আপনাকেই করতে হবে । কেউ বিখ্যাত হয়ে জন্ম নেই না । বিখ্যাত হওয়ার পিছনের দিন গুলো অনেক কষ্টের অনেক অনেক… !
স্টিভ জভসকে যখন তার নিজের কোম্পানী Apple থেকে বের করে দিয়েছিলো তখন তিনি কোন কিছুই বলেননি, নিজেকে দোষী মনে করে, বের হয়ে, নিজেকে নতুনভাবে চিনেয়েছেন এনিমেশন তৈরি করে।
এবং পরে Apple কোম্পানী কিনে নিয়েছিলেন, তৈরী করেছেন স্মার্টফোন ।
ঘুরে আসুন : পারিবারিক জে`দ থেকে স্বপ্ন, প্রথম বিসিএসেই ম্যাজিস্ট্রেট আসমা
এবং পরে Apple কোম্পানী কিনে নিয়েছিলেন, তৈরী করেছেন স্মার্টফোন ।
'কিছু মানুষ তোমাকে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে তুমি তাঁর কোন ক্ষতি করেছ। তবু তুমি তাঁর কাছে স্রেফ অপছন্দের একটা মানুষ। তোমার হাঁটা-চলা, কথাবার্তা অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না। কেউ তোমাকে অপছন্দ করে, কারণ তুমি তাঁর চেয়ে ভালো কাজ জানো। তুমি জনপ্রিয়, লোকে তোমাকে পছন্দ করে, সেটাও অপছন্দ হওয়ার কারণ হতে পারে। তোমার চুল তাঁর চেয়ে সামান্য বড় বা ছোট, তোমার গায়ের রং তাঁর চেয়ে সামান্য উজ্জ্বল কিংবা অনুজ্জ্বল--হয়তো কারণটা এমন! কেবল কারও কোন ক্ষতি করলেই তুমি তাঁর অপছন্দের পাত্র হবে ব্যাপারটা তা নয়। অপছন্দ ব্যাপারটা আসে ঈর্ষাকাতরতা থেকে। মানুষের সহজাত চরিত্রেই এই অনুভূতির প্রভাব আছে।"
[মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র]
No comments