৫ দশকে গড়া মোস্তফা গ্রুপ ডুবতে লেগেছে কয়েক বছর
৫ দশকে গড়া মোস্তফা গ্রুপ ডুবতে লেগেছে কয়েক বছর
১৯৫২ সালে ভোগ্যপণ্য দিয়েই ব্যবসা শুরু করেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিভিন্ন খাতে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে গড়ে তোলেন মোস্তফা গ্রুপ, যেটি একসময় দেশের অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মোস্তাফিজুর রহমানের কয়েক দশকের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এ শিল্প গ্রুপ এখন ঋণভারে ডুবতে বসেছে।
সম্প্রতি ঋণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান হেফাজতুর রহমান। গ্রুপের বাকি পরিচালকদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেও রয়েছে পরোয়ানা।
ভোগ্যপণ্যসহ চট্টগ্রামে ব্যবসার বিভিন্ন খাতে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসা মোস্তফা গ্রুপের পতনের শুরু হয় ২০০৬ সালে গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর।
ঘুরে আসুন : চাকরী করা অবস্থায় কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন
ভোগ্যপণ্যসহ চট্টগ্রামে ব্যবসার বিভিন্ন খাতে অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসা মোস্তফা গ্রুপের পতনের শুরু হয় ২০০৬ সালে গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রয়াত হলে গ্রুপটির পরিচালনার দায়িত্বে আসেন তার সাত সন্তান। দায়িত্ব নেয়ার পর তারা ভোগ্যপণ্য ও ভোজ্যতেল আমদানি, শিপব্রেকিং, পেপার মিলসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা ঋণ নেন।
কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণের এসব অর্থ বিনিয়োগ করেন দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ গড়ার কাজে।
ঘুরে আসুন : সফলতা শুধু আপনার জন্যই
কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণের এসব অর্থ বিনিয়োগ করেন দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ গড়ার কাজে।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রয়াত হলে গ্রুপটির পরিচালনার দায়িত্বে আসেন তার সাত সন্তান। দায়িত্ব নেয়ার পর তারা ভোগ্যপণ্য ও ভোজ্যতেল আমদানি, শিপব্রেকিং, পেপার মিলসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা ঋণ নেন। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণের এসব অর্থ বিনিয়োগ করেন দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ গড়ার কাজে।
বিশেষ করে জমি কেনা, পাহাড়ে রাবারবাগান গড়ে তোলা ও চা-বাগান কিনতে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন মোস্তফা গ্রুপের কর্ণধাররা।
এরই মধ্যে ২০০৭ সালের দিকে এসে লোকসানের মুখে পড়ে গ্রুপটি। এই লোকসান চলতে থাকে টানা ২০১৩ সাল পর্যন্ত। একের পর এক খেলাপি হতে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণগুলো। মোস্তফা গ্রুপের কাছে বর্তমানে ব্যাংকসহ ৩১টিরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঘুরে আসুন : যে ৫টি কারণে মিস হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স
এরই মধ্যে ২০০৭ সালের দিকে এসে লোকসানের মুখে পড়ে গ্রুপটি। এই লোকসান চলতে থাকে টানা ২০১৩ সাল পর্যন্ত। একের পর এক খেলাপি হতে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণগুলো। মোস্তফা গ্রুপের কাছে বর্তমানে ব্যাংকসহ ৩১টিরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোস্তফা গ্রুপের কাছে ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ১৩৫ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার সাড়ে ৫৬ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার সাড়ে ৩৫ কোটি, উত্তরা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার সাড়ে ৩৩ কোটি, এনসিসি ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখার সাড়ে ৩১ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ২১ কোটি,
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাড়ে ১৮ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের সাড়ে ১৭ কোটি, ইউসিবিএল জুবিলী রোড শাখার ১৬ কোটি ও ব্যাংক আল ফালাহ আগ্রাবাদ শাখার সাড়ে ৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ঋণের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এসব ব্যাংক গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৩৭টি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
ঘুরে আসুন : চল্লিশের আগে শুরু করুন, ত্রিশের আগে হলে আরও ভাল হয়!
ঋণের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এসব ব্যাংক গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৩৭টি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও মোস্তফা গ্রুপের কাছে সাউথইস্ট ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ২০০ কোটি, প্রাইম ব্যাংকের ৮০ কোটি, পূবালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৬৫ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট আগ্রাবাদ শাখার ৪০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৪০ কোটি, রূপালী ব্যাংক লালদীঘি শাখার ২৮ কোটি, মাইডাস ফিন্যান্স লিমিটেডের ২২ কোটি টাকাসহ ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা, ইস্টার্ন ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের বড় অংকের পাওনা রয়েছে।
এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের মানও ভালো নয়। বিভিন্ন সময়ে পুনঃতফসিল সুবিধা নেয়ার পরও মন্দঋণে পরিণত হয়েছে এসব ঋণ।বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার তথ্যমতে, ২০০৭ ও ২০০৮ সালের দিকে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করে মোস্তফা গ্রুপ।
পণ্য বিক্রি শেষে ব্যাংকের টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সে টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি গ্রুপটি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পুনঃতফসিল সুবিধা নিলেও ব্যাংকঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসেননি গ্রুপটির কর্ণধাররা। ঋণের টাকা উদ্ধারের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখা। বর্তমানে মোস্তফা গ্রুপের কাছে শাখাটির পাওনা ৩৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগ্রাবাদ শাখাপ্রধান মোহাম্মদ বেলাল এ বিষয়ে বলেন, মোস্তফা গ্রুপের ঋণ নিয়ে বিপাকে আছি। কারণ প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির কোনো সিকিউরিটি বা বন্ধকি সম্পত্তি জমা নেই ব্যাংকে। ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এলটিআর সুবিধায় ঋণটি প্রদান করা হয়েছিল। ফলে বহু চেষ্টার পরও ঋণের টাকা উদ্ধার করতে না পেরে সর্বশেষ অর্থঋণ মামলা দায়ের করতে হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রুপটির খেলাপি হওয়া ঋণগুলোর বেশির ভাগই নেয়া হয়েছে ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। প্রথম দিকে ইসলামী ব্যাংকসহ দুই-একটি ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করলেও ব্যবসার পরিধি বাড়াতে একের পর এক ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনামের কারণে যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিতে বেগ পেতে হয়নি গ্রুপটিকে। ফলে একে একে ৩১টিরও বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সুবিধা পায় মোস্তফা গ্রুপ।
ন্যাশনাল ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক এএসএম হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনামের কারণে বড় অংকের ঋণ পেয়েছে মোস্তফা গ্রুপ। কিন্তু সুদক্ষ ও সৎ ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপটির অবস্থা এখন নাজুক। একসময় গ্রুপটির কর্ণধাররা দুটি ব্যাংকের পরিচালক থাকলেও বর্তমানে তাদের ব্যাংকঋণ পরিশোধে অনীহা।
গ্রুপটির কাছে পাওনা ৩০০ কোটি টাকা আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঘুরে আসুন : উদ্যোক্তারা ঘন্টা নয় মিনিট হিসাব করে কাজ করে
গ্রুপটির কাছে পাওনা ৩০০ কোটি টাকা আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঋণের ভারে জর্জরিত মোস্তফা গ্রুপের ব্যবসাও এখন অনেকটাই সংকুচিত হয়ে এসেছে। যুগের পর যুগ ভোগ্যপণ্য ব্যবসার নেতৃত্ব দিয়ে আসা গ্রুপটি কয়েক বছর ধরে ভোগ্যপণ্য ব্যবসায় নেই। শিপব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের সভাপতি হেফাজতুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের ব্যবসা নেই শিপব্রেকিং খাতেও। ভোজ্যতেলের ব্যবসা বন্ধ করে ট্যাংক টার্মিনাল বিক্রি করে দিয়েছে গ্রুপটি।
বন্ধ হয়ে গেছে গ্রুপটির চা-বাগান, রাবারবাগান, আমবাগান, কাগজ, মত্স্য (চিংড়ি), স্টিল, পরিবহন, শিপিং, সিকিউরিটিজ ও পোশাক খাতের বহু প্রতিষ্ঠান। যে কয়টি প্রতিষ্ঠান টিকে আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও ভালো নয়। বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রুপটির খেলাপি হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মোস্তফা ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, মোস্তফা করপোরেশন, এমএম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, এমএম করপোরেশন, মেসার্স মোস্তফা এন্টারপ্রাইজ, মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স, মোস্তফা শ্রিম্প প্রডাক্টস, মোস্তফা গ্যালভানাইজিং প্লান্ট।
এমন দুর্দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোস্তফা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রধান ব্যবসা ছিল ভোগ্যপণ্য ও শিপব্রেকিং খাতে। ওই দুই খাত থেকেই ব্যবসার পরিধি অন্য খাতগুলোতে বিস্তৃত করি। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভোগ্যপণ্য ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয়েছে ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের। এই সময়ে আমরা কোনো ব্যবসা করতে না পারলেও ঋণের উচ্চ সুদ আমাদের খেলাপি বানিয়ে দিয়েছে। আমরা পরিস্থিতির শিকার।
এর পরও আমরা চেষ্টা করেছি ব্যাংক থেকে নতুন অর্থায়ন নিয়ে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু একসময় ব্যবসার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়া ব্যাংকগুলো আমাদের বিপদের সময় অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের অভাবে সব ধরনের সক্ষমতা থাকার পরও আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো চালাতে পারছি না। মোস্তফা গ্রুপের মতো দেশের পুরনো ও রুগ্ণ শিল্প গ্রুপগুলোকে সচল রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একসময় বিভিন্ন খাতের ব্যবসায় নেতৃত্ব দিয়ে আসা মোস্তফা গ্রুপের আজকের এ অবস্থার পেছনে বহু কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ পাওনাদার ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যবসায় করপোরেট সংস্কৃতির উন্নয়ন না ঘটানো। গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করে এলেও তা পরিচালিত হতো মূলত গতানুগতিক পদ্ধতিতে।
ঘুরে আসুন : আইডিয়া দিলেই মিলবে ব্যাংক ঋণ
গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার ছেলেরা প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনায় তারাও গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বের হয়ে করপোরেট সংস্কৃতি দাঁড় করাতে পারেননি। ফলে গ্রুপটির মূল কার্যক্রম কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কিন্তু ওইসব কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের লাভের চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের প্রতি বেশি সচেষ্ট ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার বড় ছেলে হেফাজতুর রহমান। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন জহির উদ্দিন। তাদের ভাই কফিল উদ্দিন গ্রুপটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, শফিক উদ্দিন ভাইস চেয়ারম্যান ও কামাল উদ্দিনসহ তিনজন পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।
ঘুরে আসুন : স্বপ্ন পূরনের জন্য কোন ডিগ্রীর দরকার হয় না।
এদের মধ্যে হেফাজতুর রহমান দীর্ঘদিন শিপব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। এছাড়া জহির উদ্দিন ব্যাংক এশিয়া ও ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক এবং শফিক উদ্দিন ব্যাংক এশিয়ার পরিচালক ছিলেন। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা।
No comments